আষাঢ় মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ থাকছে মেঘলা। তার পরও ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলছে না। বৃষ্টি থেমে গেলেই গরমের তীব্রতা বাড়ছে। হাঁসফাঁস উঠে যাচ্ছে লোকজনের।
এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানিয়েছেন, আষাঢ়ের শুরুর দিকের বৃষ্টির ধরন এ রকমই। অল্প সময় হালকা বৃষ্টিপাত হলে বরং গরমের তীব্রতা কিছুটা বেশি অনুভূত হয়।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাতে গতকাল শুক্রবার প্রায় সারাদিন আকাশ মেঘে ঢাকা ছিলো। কোনো কোনো এলাকাতে বৃষ্টি হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরেও বৃষ্টি হয়। লোকজন গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে শুরু করেন। বিশেষ করে, বিদ্যালয় ছুটির পর ছাত্রছাত্রীদের প্রাণোচ্ছলভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। তাড়াশ সদর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মজিদ নামে একজন শ্রমজীবী বলেন, সবখানেই গরম। গাছতলার ছায়াতে বসে থাকলেও গরম লাগে। মনে হচ্ছে গরমে জান বেড়িয়ে যাবে। রিমন ও সজল নামের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র জানায়, বিদ্যালয়ে ফ্যানের নিচে বসেও ঘামতে থাকি। গরমে খুব খারাপ লাগে আমাদের। ইচ্ছে করেই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরছি।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, গরমে ঘাম না শুকিয়ে ঠান্ডা পানি খেলে কিংবা ঠাণ্ডা ঘরে বসে পড়ার মতো অনিয়ম করলে জ্বর, সর্দি ও কাশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। গরম থেকে বেড়িয়ে বৃষ্টির পানিতে ভিজলেও অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।










