ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কলেজে কর্তৃপক্ষ কলেজ ও ছাত্রাবাস ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ছেড়ে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরছেন
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ছেড়ে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রাবাস ছেড়ে বাড়িতে ফিরছেন কামরুল নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “ছাত্রাবাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের হলের সিটের ফি কমানোর দাবি ছিল সম্পূর্ণ ন্যায্য। কিন্তু এই দাবিকে উপেক্ষা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে না বসে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”
এর আগে রবিবার শিক্ষার্থীরা বলেন, “আশপাশে যতগুলো কলেজ রয়েছে তাদের সিট চার্জ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমাদের দিতে হচ্ছে ৭ হাজার টাকা। তা কমানোর জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু স্যার আমাদের সঙ্গে না বসে সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে এর কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় কলেজ ও ছাত্রাবাস ৩ দিনের বন্ধ ঘোষণা করেছে।”
সোমবার সকালে এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ আমান বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। রবিবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। এরপরও যারা এর সঙ্গে জড়িত প্রশাসন তাদের খুঁজে বের করবে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রাবাসের সিটের ফি কমানোর বিষয়টি আমাদের নজরে আছে এবং সবার সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করা হবে।”
