সরকারের বর্তমানে মহাবিপৎসংকেত চলছে: রিজভী

চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধকার ধেয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সরকারের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত চলছে। শেখ হাসিনার হুংকার আর কাজে আসবে না।

এবারে আর যেনতেন নির্বাচন করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় আশ্রয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ভেঙেচুরে তছনছ করেছে সরকার।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে যে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দী করে রাখা হয়েছে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রতিহিংসামূলক, তা আজ বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার। এবারে আর যেনতেন নির্বাচন করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি এই নেতা মনে করেন, আজকে অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত জনগণ গ্রাম থেকে শহরে সব পর্যায়ে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। স্বৈর রুদ্রশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েও জনগণ নিপীড়কদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে। দেশের মানুষ অধিকার ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের দুঃশাসনে বিশ্ববিবেকও জাগ্রত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিএনপি নেতা রিজভীর মন্তব্য, এবারের কোরবানির ঈদে জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষের দিন কেটেছে নিরানন্দে।

রিজভীর অভিযোগ, তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে গরিব মানুষ চেয়ে আনা মাংস রান্না করতেও পারে না। ক্ষমতাসীনদের বাজার সিন্ডিকেটের কারণে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম যেভাবে হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই কোরবানি ঈদে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের প্রয়োজন হয় যেমন—কোরবানির পশু, চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও মসলাসহ অধিকাংশ খাদ্যপণ্যই ছিল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুব মহাসচিব হাবিবুর নবী খান সোহেল, দলের স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই বিভাগের সর্বশেষ